মেধা সম্পদ কি?
মানুষের ভাবনাজাত
সৃষ্টিই মেধা সম্পদ। যেমনঃ উদ্ভাবন, সাহিত্য ও শৈল্পিক কর্ম এবং ব্যবসায়ে ব্যবহৃত
প্রতীক, নাম ও ইমেজ বা ছবি।
মেধা সম্পদ দু’টি শাখায়
বিভক্তঃ
১. ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি (শিল্প সম্পদ)ঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি’র মধ্যে রয়েছে
পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন (শিল্প নকশা) এবং ভৌগলিক পরিচিতি (Geographical Indication)।
২. কপিরাইটঃ কপিরাইট-এর
অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে উপন্যাস, কবিতা ও নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীতসহ সাহিত্যকর্ম এবং
ড্রয়িং, পেইন্টিং, আলকচিত্র, ভাস্কর্য এবং স্থাপত্য নকশাসহ নান্দনিক কর্ম। কপিরাইট
সংশ্লিষ্ট অধিকারের মধ্যে রয়েছে শিল্পীদের (পারফর্মার) অধিকার, ফনোগ্রাম
প্রযোজকদের অধিকার, রেডিও ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার সংস্থার অধিকার।
মেধা সম্পদ অধিকার
কোনগুলো?
মেধা সম্পদ অধিকার অন্য
যে কোনো সম্পদ অধিকারের মত - এই অধিকার
পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক বা কপিরাইট স্বত্বাধিকারীকে
তার কাজ বা বিনিয়োগ থেকে লাভবান হওয়ার সুবিধা প্রদান করে। মানবাধিকারের
সার্বজনীন ঘোষণার ২৭নং অনুচ্ছেদে এসব অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। এ ধারায় কোনো
বৈজ্ঞানিক, সাহিত্য বা নান্দনিক সৃষ্ঠির মালিকানা থেকে প্রাপ্ত সুফল ভোগের
অধিকারের বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে।
মেধা সম্পদের গ্রুরুত্বের বিষয়টি প্রথম স্বীকৃত হয় ১৮৮৩ সালে অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি সুরক্ষার প্যারিস সম্মেলন (প্যারিস কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি) এবং ১৮৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাহিত্য ও শৈল্পিক কর্ম সুরক্ষার বার্ন সম্মেলন (Berne Convention for the Protection of Literary and Artistic Works)। উভয় চুক্তিই পরিচালনা করছে বিশ্ব মেধা সম্পদ সংস্থা বা World Intellectual Property Organization (WIPO)।
কেন মেধা সম্পদ প্রসার ও সংরক্ষণ করবেন?মেধা সম্পদ প্রসার ও সংরক্ষণের কতগুলো যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, মানবজাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ নির্ভর করে প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক জগতে নতুন কিছু সৃষ্ঠির ক্ষমতার উপর।