Monday, February 27, 2012

STROKE - স্ট্রোকঃ


ছবিটি শেয়ার করে হয়তো আপনিও কারো জীবন বাঁচাতে পারবেন।

STROKE স্ট্রোকঃ মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষরঃ S, T এবং R

আমার বন্ধু আমাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছে এবং আমাকে এই কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছে। আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।

একটি সত্যি গল্পঃ
একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।

মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।

সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।

একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।

স্ট্রোককে চিনুন...

সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!

মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।

সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ

S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।

T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।

R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।

এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)

সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।

সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান!!!

Actual post: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=174496769308792&set=a.171801722911630.40393.171799356245200&type=1&theater

Translated by: সজ'১২ at your service :-)

এরকম আরও অনেক ছোট ছোট, জরুরি তথ্য জানতে জয়েন করুন আমাদের পেইজ স্বাস্থ্য কথন (Health Tips) এ। জেনে খুশি হবেন, এ সময়ের বেশ কয়েকজন নামকরা ডাক্তার তাদের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকেও সময় খুঁজে বের করে এখানে নিয়মিত লেখালেখি করেন। :-)

True Innovation

Friday, February 3, 2012

মেধা সম্পদ


মেধা সম্পদ কি?
মানুষের ভাবনাজাত সৃষ্টিই মেধা সম্পদ। যেমনঃ উদ্ভাবন, সাহিত্য ও শৈল্পিক কর্ম এবং ব্যবসায়ে ব্যবহৃত প্রতীক, নাম ও ইমেজ বা ছবি।
মেধা সম্পদ দু’টি শাখায় বিভক্তঃ
১. ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি (শিল্প সম্পদ)ঃ  ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি’র মধ্যে রয়েছে পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন (শিল্প নকশা) এবং ভৌগলিক পরিচিতি (Geographical Indication)

২. কপিরাইটঃ কপিরাইট-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে উপন্যাস, কবিতা ও নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীতসহ সাহিত্যকর্ম এবং ড্রয়িং, পেইন্টিং, আলকচিত্র, ভাস্কর্য এবং স্থাপত্য নকশাসহ নান্দনিক কর্ম। কপিরাইট সংশ্লিষ্ট অধিকারের মধ্যে রয়েছে শিল্পীদের (পারফর্মার) অধিকার, ফনোগ্রাম প্রযোজকদের অধিকার, রেডিও ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার সংস্থার অধিকার।

মেধা সম্পদ অধিকার কোনগুলো?
মেধা সম্পদ অধিকার অন্য যে কোনো সম্পদ অধিকারের মত -  এই অধিকার পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক বা কপিরাইট স্বত্বাধিকারীকে  তার কাজ বা বিনিয়োগ থেকে লাভবান হওয়ার সুবিধা প্রদান করে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার ২৭নং অনুচ্ছেদে এসব অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। এ ধারায় কোনো বৈজ্ঞানিক, সাহিত্য বা নান্দনিক সৃষ্ঠির মালিকানা থেকে প্রাপ্ত সুফল ভোগের অধিকারের বিষয়টি  ঘোষিত হয়েছে।

 মেধা সম্পদের গ্রুরুত্বের বিষয়টি প্রথম স্বীকৃত হয় ১৮৮৩ সালে অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি সুরক্ষার প্যারিস সম্মেলন (প্যারিস কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি) এবং ১৮৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাহিত্য শৈল্পিক কর্ম সুরক্ষার বার্ন সম্মেলন (Berne Convention for the Protection of Literary and Artistic Works)উভয় চুক্তিই পরিচালনা করছে বিশ্ব মেধা সম্পদ সংস্থা বা World Intellectual Property Organization (WIPO)

কেন মেধা সম্পদ প্রসার ও সংরক্ষণ করবেন?
মেধা সম্পদ প্রসার ও সংরক্ষণের কতগুলো যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, মানবজাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ নির্ভর করে প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক জগতে নতুন কিছু সৃষ্ঠির ক্ষমতার উপর।

দ্বিতীয়ত, এ জাতীয় নতুন সৃষ্ঠিকর্ম গুলোর আইনি সুরক্ষা এ খাতে অতিরিক্ত সম্পদ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে, যা আরো নতুন নতুন সৃষ্ঠিকর্মের সম্ভাবনা তৈরী করে।

তৃতীয়ত, মেধা সম্পদের প্রসার ও সংরক্ষণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, নতুন চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে এবং জীবন-যাপনের মান বৃদ্ধি করে

সামাজিক-সাংস্কৃতিক কল্যাণও অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে মেধা সম্পদের সম্ভাবনা উপলব্ধিতে একটি কার্‍্যকর ও ন্যায়সঙ্গত মেধা সম্পদ ব্যবস্থা বিশ্বের সবগুলো দেশকে সহায়তা করতে পারে। এই ব্যবস্থা উদ্ভাবকের স্বার্থ ও জনস্বার্থের মধ্যে একটি চমৎকার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, এমন এক পরিবেশ সৃষ্ঠি করে যেখানে সবার মঙ্গলের জন্য সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবন বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়।

গড়পড়তা মানুষ কিভাবে লাভবান হতে পারে?

মেধা সম্পদ অধিকার পুরষ্কৃত করে সৃষ্টিশীলতা ও মানব প্রচেষ্টাকে, সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে যেটা প্রধান প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। কয়েকটি উদাহরণ হচ্ছেঃ

*     বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চলচ্চিত্র, রেকর্ডিং, প্রকাশনা ও সফটওয়্যার শিল্প বিশ্বের সব প্রান্তের শত কোটি মানুষের মনে যে বিনোদন জোগায় তার অস্তিত্বই থাকত না, যদি কপিরাইট সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকত।

*     ভোক্তারা কোনো ভাবেই আস্থার সঙ্গে পণ্য বা সেবা কিনতে সক্ষম হত না, যদি নকল বা পাইরেসি নিরুৎসাহে নির্ভরযোগ্য ও আন্তর্জাতিক ট্রেডমার্ক সুরক্ষা আইন এবং কার্যকরীকরণ ব্যবস্থা না থাকত।

*     পেটেন্ট ব্যবস্থা প্রদত্ত পুরষ্কারের সুবিধা না থাকলে গবেষক এবং উদ্ভাবকরা ভোক্তাদের জন্য উন্নত ও কার্যকর পণ্য উৎপাদনে তেমন উৎসাহবোধ করতেন না।

Thursday, February 2, 2012

বিষয়ঃ পেটেন্ট (Patent)

Article + Books: বিষয়ঃ পেটেন্ট (Patent): পেটেন্ট কি? পেটেন্ট হচ্ছে একচেটিয়া অধিকার, কোনো কিছু উদ্ভাবনের জন্য এটা অনুমোদন করা হয়। উদ্ভাবনটি হতে পারে একটি পণ্য বা একটি প্র...

বিষয়ঃ পেটেন্ট (Patent)

পেটেন্ট কি?

পেটেন্ট হচ্ছে একচেটিয়া অধিকার, কোনো কিছু উদ্ভাবনের জন্য এটা অনুমোদন করা হয়। উদ্ভাবনটি হতে পারে একটি পণ্য বা একটি প্রক্রিয়া যা কোনো কিছু সম্পাদনের নতুন পদ্ধতি প্রদান করে বা কোনো সমস্যার নতুন কারিগরী সমাধান প্রস্তাব করে।


একটি পেটেন্ট এর মালিক তার উদ্ভাবনের সুরক্ষা প্রদান করে। সীমিত সময়ের জন্য এই সুরক্ষা বলবৎ থাকে, সাধারণত ২০ বছর পর্যন্ত।


কোন ধরনের সুরক্ষা প্রস্তাব করে পেটেন্ট?


পেটেন্ট সুরক্ষার অর্থ হচ্ছে পেটেন্ট মালিকের অনুমতি ছাড়া তার উদ্ভাবনটি বাণিজ্যকভাবে তৈরি, ব্যবহার, বিতরণ বা বিক্রি করা যাবে না। পেটেন্ট সংশ্লিষ্ট অধিকারগুলো সাধারণত কার্যকর করে আদালত, যে প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পেটেন্ট লঙ্ঘন বন্ধের কর্তৃত্ব রাখে। আবার, আদালত তৃতীয় কোনো পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে একটি পেটেন্টকে অবৈধও ঘোষণা করতে পারে।

 

পেটেন্ট মালিকের কি অধিকার রয়েছে?


পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনটি অনুমোদিত সময়ের মধ্যে কে বা কারা ব্যবহার করতে পারবে বা কারা পারবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একজন পেটেন্ট মালিকের রয়েছে। পেটেন্ট মালিক পারস্পারিকভাবে সম্মত কোনো চুক্তির মাধ্যমে অন্য কোনো পক্ষকে তার উদ্ভাবনটি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারেন। এছাড়া পেটেন্ট মালিক তার উদ্ভাবনটির অধিকার অন্য কারও কাছে বিক্রিও করতে পারেন, যার কাছে বিক্রি করবেন তিনি হবেন ঐ পেটেন্ট’র নতুন মালিক। পেটেন্ট’র মেয়াদ শেষ হলে এর সুরক্ষাও শেষ হয় এবং উদ্ভাবনটি তখন জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ  এর উপর মালিকের একচেটিয়া অধিকার আর থাকে না, অন্যরা নিজেদের সুবিধা মতন কাজে লাগিয়ে বানিজ্যকভাবে সেটা ব্যবহার করতে পারে।

 

পেটেন্ট কেন প্রয়োজন?


বিপণনযোগ্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার স্বীকৃতি ও বস্তুগত পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে পেটেন্ট ব্যক্তি বিশেষকে উদ্দীপ্ত করে। এই পুরষ্কার পুনরায় নতুন কিছু প্রবর্তনে উৎসাহ জোগায়, যা মানুষের জীবন-যাপনের মান ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে যায়।


 

প্রতিদিনকার জীবনে পেটেন্ট কি ভূমিকা রাখে?


পেটেন্টকৃত উদ্ভাবন আসলে মানুষের জীবনের সবক্ষেত্রেই ছড়িয়ে আছে-বৈদ্যুতিক বাতি (পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী এডিসন ও সোয়ান) থেকে প্লাস্টিক (পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী বেকল্যান্ড), বলপয়েন্ট কলম ((পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী বিরো) থেকে মাইক্রো প্রসেসর (উদাহরণস্বরুপ পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী ইন্টেল)।


বিশ্বের কারিগরী জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধি করতে পেটেন্ট  সুরক্ষার বিনিময়ে সব পেটেন্ট মালিক তাদের উদ্ভাবন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য থাকেন। ক্রমবর্ধমান এই জ্ঞান ভাণ্ডার অন্যদের মধ্যে আরো বেশি সৃষ্টিশীলতা ও নতুন উদ্ভাবনের প্রসার ঘটায়। এভাবে, পেটেন্ট কেবল এর মালিককে সুরক্ষা প্রদান করে না, একই সঙ্গে  ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষক ও উদ্ভাবকদের মূল্যবান তথ্য দিয়েও অনুপ্রাণিত করে।


পেটেন্ট কিভাবে মঞ্জুর করা হয়?


পেটেন্ট লাভের প্রথম ধাপটি হচ্ছে একটি পেটেন্ট আবেদনপত্র দাখিল করা। এই আবেদনপট্রে সাধারণত উদ্ভাবনের নাম ও কোন কারিগরী শাখায় এটা প্রযোজ্য সে বিষয়ক তথ্য থাকে। তাছাড়া আবেদনপত্রে উদ্ভাবনটির পটভূমি ও এর বিস্তারিত বিবরণ স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করতে হয়, যেন ওই নির্দিষ্ট বিষয়ে গড়পড়তা ধারণা সম্পন্ন কোনো ব্যক্তি এটা ব্যবহার করতে পারেন বা পুনরুৎপাদনে সক্ষম হন। বিবরণের পাশাপাশি বিষয়টি আরো বোধগম্য করতে দৃষ্টিগ্রাহ্য উপাদান যেমন ড্রয়িং (Drawing), পরিকল্পনা (Plan) বা ডায়াগ্রামও (Diagram) প্রদান করতে  হয়। আবেদনপত্রে আরো থাকে বিভিন্ন ধরনের ‘দাবি’, অর্থাৎ এমন সব তথ্য যা পেটেন্ট-এর মাধ্যমে মঞ্জুরকৃত সুরক্ষার মেয়াদ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। 

 

কোন ধরনের উদ্ভাবনগুলো সুরক্ষা করা যায়?


পেটেন্ট’র মাধ্যমে সুরক্ষিত হতে হলে একটি উদ্ভাবনকে অবশ্যই কিছু শর্তপূরণ করতে হবে। উদ্ভাবনটির বাস্তবিক ব্যবহার থাকবে; এতে থাকবে অভিনব কিছু উপাদান, অর্থাৎ নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যেগুলো ওই কারিগরি ক্ষেত্রে বিদ্যমান জ্ঞান ভান্ডারে অপরিচিতবিদ্যমান জ্ঞান ভান্ডারকে বলা হয় ‘প্রায়র আর্ট’(Prior Art)একটি উদ্ভাবনে অবশ্যই থাকতে হবে একটি উদ্ভাবনকুশল পদক্ষেপ বা ধাপ যেন গড়পড়তা জ্ঞানসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি শাখার কেউ তা অনুমান করতে না পারেন। চুড়ান্ত বিচারে, আইন অনুসারে এর বিষয়বস্তু ‘পেটেন্টযোগ্য’ বলে স্বীকৃত হতে হবে। অনেক দেশেই সাধারণত বৈজ্ঞানিক তত্ব, গাণিতিক পদ্ধতি, উদ্ভিদ বা প্রাণীর ভিন্ন প্রজাতি, প্রাকৃতিক বস্তু আবিষ্কার, বাণিজ্যিক পদ্ধতি বা চিকিৎসা সেবার পদ্ধতি (চিকিৎসা সামগ্রী ব্যতিত) পেটেন্টযোগ্য নয়।


 



কে পেটেন্ট অনুমোদন করে?


পেটেন্ট মঞ্জুর করে জাতীয়  পেটেন্ট অফিস বা আঞ্চলিক পেটেন্ট অফিস। আঞ্চলিক পেটেন্ট অফিস অনেকগুলো দেশের হয়ে কাজ করে, যেমন ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিস (EPO) এবং আফ্রিকান মেধা সম্পদ সংস্থা (OAPI)এধরণের আঞ্চলিক পদ্ধতিতে, একটি মাত্র আবেদন পত্রের মাধ্যমে এক বা একাধিক দেশে পেটেন্ট সুরক্ষার অনুমতি প্রার্থনা করা যায় এবং প্রত্যেকটি দেশ তাদের ভূখন্ডে সুরক্ষার আবেদন গ্রহণ করবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। WIPO পরিচালিত পেটেন্ট সহযোগিতা চুক্তি (Patent Cooperation Treaty) এক্ষেত্রে একটি মাত্র আন্তর্জাতিক আবেদনপত্র দাখিলের সুবিধা প্রদান করে, যেটা অনেকটা নিজ দেশের পেটেন্ট অফিসে আবেদন করার মত। সুরক্ষা পেতে আগ্রহী কোনো আবেদনকারী একটি মাত্র আবেদন দাখিল করতে পারেন এবং যতগুলো দেশ সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তার সবগুলো দেশে তিনি সেটা সুরক্ষার অনুরোধ জানাতে পারেন।


  

পেটেন্ট আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের লোকাল অফিস হচ্ছে,

পেটেন্টস, ডিজাইন্স ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর

৯১, মতিঝল বা/এ, শিল্প মন্ত্রণালয়, ঢাকা।